আজকের গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে হিন্দু বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রাম ইউনিয়নের বিধিবাসুড়িয়া গ্রামের স্কুল ক্লার্ক উৎপল মন্ডলের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় উৎপলের বোন বাসুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণি ছাত্রী আশা মন্ডল ও রাজপাট কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী পূজা মন্ডল আহত হয়েছে।
উৎপল মন্ডল বিধি বাসুড়িয়া গ্রামের মৃত ক্ষিতিশ মন্ডলের ছেলে। তিনি বাসুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লর্ক পদে কর্মরত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে উৎপল মন্ডল মুকসুদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উৎপল মন্ডল বলেন, জোয়ারের পানি থেকে ফসল রক্ষার জন্য আমরা সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের খাল পাড়ের মাটি কেটে বাঁধ দিচ্ছিলাম। এতে বাধা দেন পাশ^বর্তী রাজপাট গ্রামের সামাদ শেখ। এ নিয়ে আমাদের সাথে সামাদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সামাদ আমাদের দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে সামাদ ও তার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা করে। তারা অধ্যয়নরত আমার দু’ বোনকে চর-ধাপ্পর ও কিলঘুষি মেরে আহত করে। হামলাকারীরা তাদের গলা থেকে দু’টি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র, মালামাল তছনছ করে মূলবান মালামাল, ১টি ল্যাপটপ ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আমি বৃহস্পতিবার রাতেই মুকসুদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত সামাদ শেখ বলেন, ওই এলাকায় আমার দু’টি পানি সেচ বøক রয়েছে। আমি সেটি দেখভাল করে ফেরার পথে সন্ধ্যায় দেখি উৎপল সহ ৭/৮ জন খাল পাড়ের মাটি কাটছে। এতে আমাদের বøকের ক্ষতি হবে বলে বাধা দেই। এ সময় উৎপল সহ অন্যান্যরা আমাকে ঘিরে মারপিট করতে উদ্যত হয়। আমি কোন রকমে সেখান থেকে ফিরে আসি। গ্রামের লোকজন এ খবর জানতে পেরে উৎপলের বাড়িতে চড়াও হয়। পরে আমরা তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসি। সেখানে হাসলা, মারপিট, ভাংচুর বা লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোঃ আবু বকর মিয়া বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ ব্যাপারে এখানো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply