ডেক্স রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জের সীমান্তবর্তী বাগেরহাটের চর-কুনিয়া গ্রামের দুই সন্তানের জননী ও ইন্সুরেন্স কর্মীকে (২২) ধর্ষন চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ৪ বখাটের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চর-কুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাজার শাখায় কর্মরত। আহত ওই নারীকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী বলেন, আমার স্বামী ২য় বিয়ে করেছে। তাই আমি আমার দুই সন্তানকে নিয়ে চরকুনিয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকি। আমি ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে কাজ করি। চর-কুনিয়া গ্রামের মুনসুর শেখের ছেলে আমিনুর শেখ (২৮) দীর্ঘদিন ধরে আমকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। আমি তাকে বারবার প্রত্যাক্ষাণ করে আসছিলাম। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়। শনিবার ভোরে বাড়ির পাশের এক দোকানে শ্যাম্পু কিনতে যাই। সেখানে আমিনুর ও তার সহযোগি চরকুনিয়া গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে হাফিজ গাজী (২৯), আবুল হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদার (২৫) ও কুনিয়া গ্রামের নোয়াব আলী শেখের ছেলে শিহাব শেখ (৩২) অশ্লীল ভাষায় উত্ত্যক্ত করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমিনুর আমার চুল ধরে দোকানের ভিতর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তারা আমার ওপর হামলে পড়ে ধর্ষণের জন্য ধস্তাধস্তি করে। শিহাব আমার পেটে আঘাত করে। সবুজ পড়নের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ওরা আমাকে কিল ঘুষি মারে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে একজনের গোপন অঙ্গে আঘাত করে দোকানের বাইরে চলে আসি। শিহাব আমাকে ধরে পাশের দেয়ালের সাথে আঘাত করে। এতে আমার চোখের কোনা কেটে যায়।আমার আত্মচিৎকার শুনে আমিনুরের পরিবার ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে তাদের সামনেই ৪ বখাটে আমাকে মারপিট করে। ওই নারী আরো বলেন, এ ব্যাপারে আমি থানায় মামলা করবো। আমিনুর একাধিক মামলার আসামী। এছাড়া দোকানে বসে সে মাদক বিক্রি ও সেবন করে। আমিনুর ও তার ৩ সহযোগির কঠোর শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে আমিনুর শেখের মুঠোফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে ক্ষুদ্র বার্তা দিয়েও তার কোন সাড়া মেলেনি।
চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক বলেন, শ্যাম্পু কেনা বেচার ঘটনা নিয়ে চরকুনিয়া বাজারে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থহয়ে নারী নির্যাতন বা মারপিটের কোন খবর আমরা পাইনি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply